বিরোধীদলও জাতীয় নির্বাচনে সহিংসতা করার চেষ্টা করলে মার্কিন ভিসা পাবে না: ডোনাল্ড লু

Spread the love

এম এ রহমান দুলাল ভুইয়া  ফেনী ।

বিগত ২৪ মে ২০২৩ ইং বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ক্লিনটন বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেন।  বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধীদলের মধ্যে কোন দল বা ব্যাক্তি জাতীয় নির্বাচনে সহিংসতা বা ভোটারদের ভয় ভীতি দেখালে সেই ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাবেন না বলে জানিয়েছেন সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ।  সে দেশের এক‌টি বেসরকারি টেলিভিশনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হ‌য়ে এমন বার্তা দেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তাকে প্রশ্ন করা হলে বাংলাদেশিদের কীভাবে এই নীতির আওতায় আনা হবে তা জানতে চাইলে লু বলেন, এই নীতি একক ভাবে নয়।  সরকার ও বিরোধী দল উভয়ের  জন্যই সমানভাবে প্রযোজ্য হবে।

তিনি  উদাহরণ স্বরুপ বলেন  আগামী নির্বাচনে যদি আমরা দেখি যে বিরোধীদলের মধ্যে কোন দলের কোন ব্যাক্তি কেউ সহিংসতায় জড়িয়ে বা ভোটারদের ভয় ভীতি দেখাচ্চেন, তাহলে সেই ব্যক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা দেওয়া হবে না।

আরও বলেন যদি যদি আমরা দেখি যে একইভাবে  সরকারের অথবা সরকারী নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত যদি কেউ ভোটারদের ভয় ভীতি প্রর্দশন করে  অথবা সহিংসতায় জড়িত থাকে  অথবা বাক স্বাধীনতা বাধাগ্রস্থ  করে, তবে সেই ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের জন্য ভিষা পাওয়ার  অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে ।
ওই সকল ব্যক্তি বর্গদের পরিবারের সদস্যদের ভিসা বিধিনিষেধের বিষ‌য়ে জান‌তে চাইলে লু বলেন, নতুন এই নীতিগত আইনের ওপর ভিত্তি করে এই সিদ্ধান্ত  হয়েছে, উভয় জায়গাতেই এই বিষয়টি খুবই  সুস্পষ্ট। জড়িত ও অভিযুক্ত ব্যক্তি বর্গের পরিবারের সদস্যরা বা জড়িত ব্যাক্তি বর্গেন স্বামী স্ত্রী ও সন্তানরা এই নীতি ও আইনে  ভিসা বিধি নিষেধের মোতাবেক আইনের মুখোমুখি হবেন।

জড়িত ব্যাক্তিবর্গের পরিবারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ভিসা বাতিলের বিষয়‌টি কীভাবে জানা‌নো হবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে লু বলেন, যাদের ভিসা প্রত্যাহার করা হবে এমন ব্যাক্তিবর্গ বা পরিবার সমুহ সবাইকেই আমাদের সিদ্ধান্তের বিষয়টি তৎক্ষণাৎ অবগত করন করা হবে।

বিগত ১৪ মে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির আলোকে  মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের চলাচলের  নিরাপত্তা কমিয়ে আনার ঘটনার জেরেই কী এই নীতি গ্রহণ করা হয়েছে  কিনা ? এই বিষয়ে জান‌তে চাইলে ডোনাল্ড লু বলেন, বিষয়টি একেবারেই সে কারণে নয় । গত ৩ মে ২০২৩ইং  বাংলাদেশ সরকারকে যখন এই নতুন  নীতির বিষয়ে অবহিত করা হয়। তখন আমি ব্যক্তিগতভাবেও এই প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত ছিলাম। সুতরাং নতুন এই নীতি ঘোষণা কোনোভাবেই বাংলাদেশ সরকারের ১৪ মে -২০২৩ ইং ঘটনার সাথে জড়িত নয়। কোন দেশের আভন্তরিন নীতি যদি তা মার্কিন স্বার্থহানীও হয সেক্ষেএে যুক্তরাষ্ট্র সরকার কখনো প্রতিশোধের মনোভাব নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয় না এবং কখোনো নিবেও না।

আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের  যুক্তরাষ্ট্রের কাছে  এতো গুরুত্বপূর্ণ কেন প্রশ্ন করা হলে ডোনাল্ড  লুর কা‌ছে – তিনি  জবাবে তিনি বলেন – বাংলাদেশের জন্য আমাদের কাছে বিশেষ স্থান রয়েছে। দুই দেশের মানুষের পারস্পারিক পারিবারিক, প্রাতিষ্ঠানিক, বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসা বানিজ্যের কোম্পানি পর্যায়ে দারুণ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র প্রতিষ্হায এগিয়ে নিতে চেষ্টা করি যা বাইডেন–হ্যারিস প্রশাসনের  খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাষন  বিশ্বাস করে বাংলাদেশে  সত্যিকারের গণতান্ত্রিত একটি দেশ , যার  কারণেই এখানে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া একান্তই  দরকার। সে লক্ষ্য মাথায় রেখেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতি গ্রহন করতে হয়েছে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

E il quarto è un rosa (molto) caldo con una breitling replica finitura a lumaca, che sarà disponibile a maggio di quest'anno.

I really dig the silver dial variants – but I am also an entirely swiss replica rolex boring individual.