
নাঙ্গলকোট(কুমিল্লা)সংবাদদাতা-
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ইসলামের অপব্যাখ্যাকারী ও পীর নামধারী গোলাম মঈনুদ্দিন টিপুর ইসলাম বিরোধী বিভিন্ন কর্মকান্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। উপজেলার হেসাখাল ইউনিয়নের উরুকচাইল গ্রামে একটি মাজারকে কেন্দ্র করে এসব ঘটনা ঘটে।
এনিয়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নিন্দার ঝড় ও তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ভন্ড পীর নামধারী গোলাম মঈনুদ্দিন টিপুকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী জানান বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। জানা যায়, উপজেলার হেসাখাল ইউনিয়নের হিয়াজোড়া গ্রামের মঈনুদ্দিন টিপু নিজেকে পীর দাবী করে মরণকালে ঢোলবাঁশি বাজাইও
দরবারী ভাই, কলেমা কালামও ভাই কোন কিছুর দরকার নাই, বিভিন্ন ধরণের ধর্ম বিরোধী কটুক্তিমূলক গান ও বক্তব্য দিয়ে ভাইরাল হওয়ার চেষ্টা করেন। সম্প্রতি ইসলাম বিরোধী বক্তব্যের কারণে এক ইমামের দায়ের করা মামলায়
থানা পুলিশ তাকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করে। পরে সে জামিনে এসে শুরু করে আরো বেপরোয়া কর্মকান্ড। টিপুর বাড়ীর পাশে একটি
মাজার রয়েছে। ওই মাজারের ভিতরে এলাকার সহজ সরল নারীদের দিয়ে নাচ-গান বাজনা করাচ্ছে। ওই মাজারের ভিতর মঈনদ্দিন টিপুর ইসলাম বিরোধী গানের সুরে সুরে পায়ে নারী পুরুষরা সিজদা দেয়ার কয়েকটি ভিডিও
ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়। ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সৃষ্টি হয় তোলপাড়। অন্যদিকে তার ভক্ত অনুসারীরা ফুল দিয়ে
সাজানো তার মাজারে মাথা নথকরা, চুমু দেয়াসহ বিভিন্ন ধরণের নাজ গান করছে। টিপু দীর্ঘ দিন যাবৎ ইসলাম ধর্মের প্রধান-প্রধান স্তম্ভ নিয়ে কুটক্তি করে আসছে। সে দেশের বিভিন্ন স্থানে গান বাজনা করে এবং নিজেকে হাফেজ, মাওলানা, ইঞ্জিনিয়ার ও পীর বলে দাবী করে সহজ সরল মানুষদের ইসলাম ধর্মের চেতনা থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছে। ইসলামবিরোধী তার উক্তির মধ্যে রয়েছে, ‘‘নামাজ পড়িলে- তসবিহ টানিলে পাইবানা আল্লাহ, কোরআন কিতাব পড়লে পাইবানা। এছাড়া মহিলা ভক্তরা তার পায়ে সিজদায় অবনত অবস্থায় আগুণ জ্বলে রে, আগুণ জ্বলেগো, খেলনার আগুণ জ্বলে অন্তরে, কি দিয়ে নিভাবো আগুণ গানটি বাজতে দেখা যায়।নাঙ্গলকোট উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মুফতী অলি উল্লাহ বলেন, মানুষকে সেজদা দেয়া সম্পূর্ণ শিরক। ইসলাম বিরোধী
কর্মকান্ত পরিচালনাকারী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদানের জন্য প্রশাসনের নিকট দাবী জানান। অন্যথায় আলেম সমাজ তৌহিদী জনতাদের নিয়ে তুমুল আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রায়হান মেহেবুব বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।