
স্টাফ রিপোর্টার
কুমিল্লা জেলার লাকসামের সুরক্ষা সিটির বহুল আলোচিত আসাদুজ্জামান ভূট্টো ২শ টাকার দর্শনার্থী টিকেটে ইফতার ও ওয়াজ মাহফিলের আয়োজনের মাধ্যমে আবার সংবাদ শিরোনাম। শেয়ার হোল্ডারদের পাওনা ফেরত দেওয়ার চাপ সামাল দিতে না পেরে বেশ কিছু দিন গা ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি। বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে আগামী ৭ মার্চ ২০২৩ সুরক্ষা সিটির ৮ম তলায় আয়োজন করেছে ইফতার ও ওয়াজ মাহফিল। উক্ত ওয়াজ মাহফিলে বহুল আলোচিত মাওলানা মোস্তাক ফরায়েজীকে প্রধান অতিথি হিসেবে দাওয়াত দেওয়া হয়। যা ইফতারের (২য় পাতায় দেখুন)
মাধ্যমে শেষ হবে। উক্ত ওয়াজ ও ইফতার মাহফিলের জন্য ২০০ টাকা মূল্যের কুপন ছাড়ার অন্তরালে চলছে নিরব চাঁদাবাজী ও জামাত শিবিরের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করার অভিনব কৌশল। যা ৭ তারিখের উক্ত ওয়াজ ও ইফতার মাহফিল জামাত শিবিরের নেতা-কর্মীদের মিলন মেলায় রুপান্তরীত হবে। উল্লেখ্য, বহুল আলোচিত কুমিল্লা জেলার লাকসামের শিবির ক্যাডার আসাদুজ্জামান ভূট্টোর সুরক্ষা সিটি। ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে সুরক্ষা হাসপাতাল। এই সংবাদে প্রায় ৩ হাজার বিনিয়োগকারীর এখন ঘুম হারাম। ভূট্টোর পালিয়ে যাওয়ার গুজবে এখন বিনিয়োগকারীদের প্রচণ্ড ভীড় সুরক্ষা সিটিতে। যা যে কোন সময় অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্ম দিতে পারে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, একসময়ে দুর্র্ধষ শিবির ক্যাডার আসাদুজ্জামান ভূট্টো লাকসাম বাইপাসে বিশ্বমানের একটি হাসপাতাল ও শপিং কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার শ্লোগান দেন। আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখিয়ে প্রায় ৩ হাজার শেয়ার হোল্ডারের কাছ থেকে ৩০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেন। যা হাসপাতাল ও ভবনের ব্যায় করেছেন বলে তিনি দাবী করে আসছিলেন। ইতিমধ্যে সুরক্ষা সিটির দোকান ও বিভিন্ন বিক্রি হয়ে গেছে। হাসপাতালটি নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখালেও সম্প্রতি এর কার্যক্রম বন্ধ করে মাসিক আড়াই লক্ষ টাকার ভাড়া দিয়েছে। যা শান্তা হাসপাতাল-২ নামে পরিচিতি লাভ করেছে। সুরক্ষা হাসপাতাল বন্ধের বিষয়টি বিনিয়োগকারীরা ইতিবাচক দৃষ্টিতে গ্রহন করতে পারেনি। শুরু হয় খোজ খবর নেওয়ার কার্যক্রম। একপর্যায়ে থলের বিড়াল বেড়িয়ে পড়ে সুরক্ষা সিটি ও আসাদুজ্জামান ভূট্টোর। বিনিয়োগকৃত টাকা কোথায় আছে? সম্পদ কোথায়? এর কোন কুলকিনারা খুজে পাচ্ছে না তারা। এদিকে সুরক্ষা সিটির প্রবেশ পথ ও প্রধান সড়কের পাশে জায়গায় মালিকানা নিয়ে সরকারের সাথে মামলা চলমান। উক্ত খাস জায়গায় অবৈধভাবে ইমারত নির্মান করায় এসিল্যান্ডের পক্ষে থেকে এলএসটি মামলা চলমান। জানা গেছে, এই খাস জায়গাটি ভরাট করে ভবন নির্মিত হয়। এই খাস জায়গা এখন হাতছাড়া হলেও মূল ভবনটি হুমকির মুখে পড়বে। যা বিনিয়োগকারীদের উৎকন্ঠার অন্যতম কারন। সাপ্তাহিক সবুজ পত্রে এনিয়ে লেখালেখি চলমান থাকায় ও প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদুজ্জামান ভূট্টোর পালিয়ে যাওয়ার গুজবে বিনিয়োগকারীরা এখন চরম উদ্বেগ ও উৎকন্ঠায় পড়ে। এসব উৎকণ্ঠিত গ্রাহকদের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ইফতার ও ওয়াজ মাহফিলকে ঢাল হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে ভূট্টোর বিরুদ্ধে।
এব্যাপারে আসাদুজ্জামান ভূট্টো বলেন, পালিয়ে যাওয়ার কথাটা গুজব। আমি নিয়মিত অফিস করি। শেয়ার হোল্ডারেরা ফরম পূরণ করে টাকা চাইলে আমি তাদের কে টাকা দিয়ে দিচ্ছি।