মাদক দেহ বাণিজ্য ও প্রতারণায় গজিয়ে উঠা কে এই আঁখি?

Spread the love

শিবলী সাদিক খানঃ

রাজধানী ও আশপাশের জেলায় মাদক দেহ বাণিজ্য ও প্রতারণায় গজিয়ে উঠা কে এই আঁখি? প্রতারণার শিকার ভূক্তভূগীদের অভিযোগে আঁখির ভয়ংকর পরিচয় উঠে এসেছে। নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার লাদুর চর টিটি বাড়ী গ্রামের নারী ছদ্মনাম “আঁখি” এই নামেই পরিচিতি পেয়েছে। প্রথম স্বামী ইউসুফ এর ঔরসে এক পুত্র সন্তান নাম তামিম( ৮)কে রেখেই পথভ্রষ্ট হন তিনি। ঢাকা শহরের যাত্রাবাড়ী এলাকায় আবাসিক একাধিক হোটেলে দেহ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। পরিচয় গোপন করে দৈহিক বাণিজ্য, মাদক ব্যবসা আর প্রতারণাকে পাকাপোক্ত করতে ইউসুফের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে, কাবিন ছাড়াই স্বামী বদলাতে থাকে। একের পর এক দালালকে স্বামী পরিচয় দিয়ে রাজধানী বিভিন্ন এলাকায় আবাসিক হোটেল, ফ্লাট বাসা গুলোতে ব্যপক পরিচিতি লাভ করে। ফোনালাপে দালাল আলি, সবুজ, শাকিল, মামুন এরা প্রত্যেকেই আঁখিকে তাদের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়েছে, এছাড়াও টিটুর বৌ হিসাবে পরিচিতি রয়েছে। ভূয়া কাবিন করাসহ এদের ব্ল্যাকমেইল, অনৈতিক কর্মকান্ড, মাদক বাণিজ্য ও প্রতারণা নিয়ে একাধিক বার অনলাইন ও পত্র পত্রিকায় নিউজ হয়েছে। সুন্দরী রমনী আঁখির টার্গেট ধনাঢ্য ব্যবসায়ী, চাকুরিজীবী, এবং বড় লোকের ছেলেদের সাথে প্রেমের সখ্যতা গড়ে তুলে ভালবাসার অভিনয়ে দৈহিক সম্পর্ক করে ব্ল্যাকমেইল করা, টাকা পয়সা হাতিয়ে নেওয়া, নানা অজুহাতে স্বর্ণালংকার, দামী মোবাইল, পোশাক ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র উপহার নেয়া। ছদ্দনাম আঁখির প্রকৃত নাম আফরোজা আক্তার(৩০) পিতামৃত- আলাউদ্দিন মোল্লা, মাতা-মোছাঃ নুরবানু, গ্রাম লাদুর চর টিটি বাড়ি নোয়াগাঁও উপজেলা সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ। ওর নামে বেনামে একাধিক মোবাইল সিম নাম্বার, ইমু আইডি খুলে প্রতারণা করে যাচ্ছে তম্মধ্যে ০১৮২৬০২৩৮৮৮/ ০১৩১১৩০০৭১৫/ ০১৭৭০০৯৪৩৭৫/ ০১৯৭৭০৬৬৩৬১/ ০১৩০৬৮৫৬৫০৮/ ০১৭৬৭২৭৫৪৭৫ এগুলোতে বিকাশ ও ইমু আইডি রয়েছে, ইমু গুলো হচ্ছে, তাঁরা, চিনিনা কে তুমি, তামিম, আমি বড় একা, কষ্টের জীবন, ভালবাসি তোমাকে, আঁখি বড়, আঁখি পে টিটু এ, হারিয়ে যাওয়া অধরা, আরও একাধিক নাম নাম্বারে প্রতারণা করে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসকল সিম নাম্বারের কললিষ্ট ও ইমু আইডি তদন্ত করলে প্রতারক, মাদক সংশ্লিষ্টতা ও দালাল চক্রের ভয়ংকর তথ্য বেড়িয়ে আসবে বলে জানা গেছে। সূত্র জানায় আঁখির গ্রামের বাড়ীতে আঁখি নামে কাউকে চেনে না ছবি দেখালে পাশের বড়ীর মহিলা জানায় তাঁর নাম আফরোজা আক্তার। গ্রামের লোকজন টেইলার্সের দোকান ও বিউটি পার্লারে চাকুরী করে বলে জানে, তবে চালচলন, সাজ সজ্জা, পোষাক পরিচ্ছেদে অনেকের সন্দেহ দানা বেঁধেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে টঙ্গীর দালাল শম্পা, রুমা, উত্তরার সনিয়া, নুরিয়া, খিলক্ষেতে রুস্তম, জাহানারা, টঙ্গীর শহিদুল, সালাম, হাবিব, যাত্রাবাড়ির মিলন, কোটিপতি, শেওড়াপাড়ায় আলি ওরফে সোহেল, গোল্ডেন আলি, সাদ্দাম, মিরপুর-১ স্বপ্নপুরি হোটেলে দালাল আপেল, রুবেল, গাবতলী আগমন হোটেল এর মামুন, ইমরান, গাবতলী বেরিবাঁধ এর বলাকা এবং রজনীগন্ধা হোটেলের আঙ্গুর, হারুন, সায়দাবাদ হায়াত হোটেলের মালিক সবুজ, ম্যানেজার রহমান, ছাড়াও রুমা, ছনিয়া, নুরিয়া, রনি, হাবিব, আপেল, ইমরান এরা সবাই আঁখির অবৈধ যৌনকর্মের সহযোগী। জানাযায় এই নারী রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন ফ্লাটবাসা, হোটেলসহ যাত্রাবাড়ী, সায়দাবাদ, গাবতলী, গাজীপুর, টঙ্গী, কোনাবাড়ি, বগুড়া, নাটোর, পাবনা, সিলেট, হবিগঞ্জ, কুমিল্লায় যাতায়াত রয়েছে। আঁখির মোবাইল কল লিষ্টে এদের নাম্বার সহ শতাধিক নারীপুরুষের তথ্য উঠে এসেছে। বর্তমানে নোয়াখালীর আলামিন হোসেন নামের একটি ছেলেকে আঁখি স্বামী বানিয়ে দালাল ছালাম ও শহিদুল এর ছত্রছায়ায় রঙলীলায় অব্যস্থ কতিপয় প্রভাবশালীকে ম্যানেজ করে টঙ্গী, উত্তরা এলাকায় অবৈধ দেহ ব্যবসা, প্রতারণা ও মাদক ইয়াবা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে বলে ভূক্তভূগী ৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকার প্রতারণার শিকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ সকল কর্মকান্ডে বিভিন্ন সময়ে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশে আঁখি গ্রেপ্তার হয়ে জেল খেটেছে, পুবাইল থানায় গ্রেপ্তার, ও ঢাকা পিবিআই এ তার বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে। মাদক ও প্রতারণা নির্মূলে দ্রুত (যৌনকর্মী) আঁখি নামধারী এই আফরোজা আক্তারকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক স্বাস্তির দাবি করেছেন ভূক্তভূগীগণ। চক্ষু লজ্জা ও মান সম্মান এর ভয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে অনেকেই নাম পরিচিত গোপন রাখার অনুরোধ করেছেন।

One thought on “মাদক দেহ বাণিজ্য ও প্রতারণায় গজিয়ে উঠা কে এই আঁখি?

  1. এমন জগন্য ও ঘৃনিত কাজগুলোর জন্যই আজ দেশের ভালো নারী পুরুষরা চলা ও থাকা কষ্টকর। এই নারীকে দৃষ্টান্ত মুলক কঠোর শাস্তির জোড়ালো দাবী জানাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

E il quarto è un rosa (molto) caldo con una breitling replica finitura a lumaca, che sarà disponibile a maggio di quest'anno.

I really dig the silver dial variants – but I am also an entirely swiss replica rolex boring individual.