
আলোচিত যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন হত্যাকাণ্ডের সময় আসামীদের ব্যবহৃত মোবাইল সহ ০৩টি অত্যাধুনিক বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার এবং আসামী গ্রেফতার । গত ৩০/০৪/২০২৩খ্রিঃ তারিখ রাতে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানাধীন গৌরিপুর পশ্চিম বাজার সংলগ্ন মসজিদের সামনে তিতাস উপজেলার যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল হোসেনকে বোরকা পরিহিত ০৩ জন অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে। ঘটনা পরবর্তীতে তাৎক্ষনিকভাবে মাননীয় পুলিশ সুপার এর নির্দেশনায় ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করে ইতিমধ্যেই আসামীদের সনাক্ত করে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আসামীদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যহত আছে।
ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারে বিভিন্ন দিক থেকে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা হয়। গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষন ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে জানা যায়, জামাল হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র, গুলি এবং ঘটনার সময়ে আসামীরা একে অন্যের সাথে যোগাযোগের জন্য তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সমূহ দেবিদ্বার থানাধীন নবিয়াবাদ গ্রামের মোঃ মাজহারুল ইসলাম সৈকত এর নিকট রেখে আসে। এরই প্রেক্ষিতে গত ০৯/০৫/২০২৩ইং তারিখ রাতে ০০:৩০ ঘটিকায় বুড়িচং থানাধীন নিমসার বাজার এলাকা থেকে মোঃ মাজহারুল ইসলাম সৈকত (২৪), কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার পরবর্তী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী জানায়, গত ৩০/০৪/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ রাত্র ০৯:০০ ঘটিকার সময় জামাল হত্যায় অংশগ্রহনকারী তার পূর্ব পরিচিত আসামীরা জামালকে হত্যা করে একটি কালো রংয়ের হাইস গাড়ী যোগে নিমসার এলপিজি পাম্পে এসে অস্ত্র, গুলি ভর্তি একটি স্কুল ব্যাগ এবং একটি শপিং ব্যাগ ভর্তি তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ধৃত আসামী মোঃ মাজহারুল ইসলাম সৈকতকে দেয়। পরবর্তীতে মাজহারুল ইসলাম সৈকত উক্ত ব্যাগ সহকারে আসামীদের সাথে গাড়ীতে উঠে এবং সবাই পরিকল্পনা করে উক্ত অস্ত্রের ব্যাগটি চান্দিনা উপজেলা পরিষদে যাওয়ার রাস্তা হতে অনুমান ২০০ গজ পূর্ব পাশে চট্টগ্রাম-টু-ঢাকা গামী মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে রাখে। আসামীর দেওয়া তথ্য মতে রাত ০১.৫০ ঘটিকায় উক্ত ঘটনাস্থলে স্থানীয় লোকজনসহ তল্লাশী অভিযান করে স্কুল ব্যাগটি উদ্ধার করলে উক্ত ব্যাগের ভেতর থাকা ভ্যানিটি ব্যাগে রক্ষিত ২টি অত্যাধুনিক বিদেশী পিস্তল, ১টি অত্যাধুনিক রিভলবার, ২৪টি গুলি(বুলেট), ২টি নেকাব, ১টি ব্যবহৃত জিন্স প্যান্ট উদ্ধার করা হয়।
তাছাড়া ঘটনার সময় আসামীদের ব্যবহৃত ০৭টি মোবাইল ফোন দেবীদ্বার থানাধীন ধৃত আসামীর পরিচালিত ফার্মেসীর পেছনে লুকানো অবস্থা হতে উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃত আসামী ০১) মাজহারুল ইসলাম সৈকত এবং পলাতক আসামী মোঃ সুজন(৩২), মোঃ আরিফ (২৮), কালা মনির (৪২), শাহ আলী (২৪), দেলোয়ার দেলু (৩০), সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তকারী অফিসার, রাজেস বড়ুয়া পিপিএম বাদী হয়ে চান্দিনা থানায় আলাদাভাবে অস্ত্র মামলার এজাহার দায়ের করলে আসামীদের বিরুদ্ধে চান্দিনা থানার মামলা রুজু করা হয়।
মামলার এজাহারনামীয় পলাতক ও অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত আছে।