
কুমিল্লায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জেরে তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল হোসেন (৪০) হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে মো. মাসুদ রানা (৩২) নামে এক যুবককে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (১০ মে) রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) সকালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেস বড়ুয়া জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার মাসুদ রানা কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের ছোট ভাই।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলায় এ নিয়ে মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় চান্দিনা উপজেলার বরকামতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সৈকতের হেফাজতে থাকা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুইটি বিদেশি পিস্তল, একটি রিভলবার ও ২৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কুমিল্লা ডিবির ওসি রাজেস বড়ুয়া বলেন, জামাল হত্যাকাণ্ডে মাসুদের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি বিদেশে পালিয়ে যাচ্ছিলেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার রাতে ইমিগ্রেশন পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে।
এর আগে ৩০ এপ্রিল রাত সোয়া ৮টার দিকে জামাল হোসেন এশার নামাজ পড়তে গৌরীপুর পশ্চিম বাজার বায়তুন নুর জামে মসজিদের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় বোরকা পরিহিত তিন দুর্বৃত্ত মসজিদ গলিতেই তাকে একাধিক গুলি করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হত্যাকাণ্ডের দুইদিন পর ২ মে রাত সাড়ে ১১টায় তার স্ত্রী পপি আক্তার বাদী হয়ে দাউদকান্দি থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি গ্রামের সুজন, আরিফ হোসেন, ইসমাইল হোসেন, মনাইরকান্দি গ্রামের শাহিনুল ইসলাম ওরফে সোহেল শিকদার, জিয়ারকান্দি গ্রামের বাদল, শাকিল, দাউদকান্দির গোপচর গ্রামের শাহ আলম, তিতাসের জিয়ারকান্দি গ্রামের অলি হাসান ও কালা মনির।